রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। প্রথম দিন ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকরা শিক্ষানগরীতে আসতে শুরু করেছে। আর এই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও তার সংলগ্ন এলাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছেন রিকশা ও অটোচালকরা। কোনো ক্ষেত্রে ভাড়া দ্বিগুন থেকে তিনগুন আদায় করছে। অনেকে এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

রবিবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিনোদপুর থেকে শের-ই বাংলা হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল গেইটের রিকশা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। অথচ অন্যান্য সময় ভাড়া নেওয়া হয় ১০ টাকা করে। একইভাবে কাজলা এবং মেইন গেট থেকে থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়ায় ছাত্রী হলগুলোর দিকে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছেন চালকেরা। যেখানে ভাড়া সাধারণত ১০ থেকে ১৫ টাকা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট এবং বিনোদপুর থেকে স্টেশন বাজার এলাকার রিকশা ভাড়া সাধারণত ১৫ থেকে ২০ টাকা হলেও বর্তমান সময়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম থেকে রাবিতে পরীক্ষা দিতে আসা মাহবুবুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিনোদপুর থেকে সকাল ৬ টার দিকে আমি এবং আমার বন্ধু শের-ই বাংলা হলে আসি। হলের গেইটে নেমে রিকশা চালকের কাছে ভাড়া জিজ্ঞেস করলে আমাদের কাছ থেকে ২০ টাকা ভাড়া আদায় করে। পরে এক বড় ভাইয়ের কাছে জানতে পারি এখানকার ভাড়া ১০ টাকা।

এদিকে শনিবার রাতে বিনোদপুর বাজার থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল পর্যন্ত এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যায়ের এক শিক্ষার্থী ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেন।

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান বলেন, অপরিচিত লোক পেয়ে এখানকার লোকজন গলা কাটছে। শুধু রিক্সা না, প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে দ্বিগুণ বা তার বেশি হয়ে যায় এই ভর্তি পরীক্ষার সময়ে। বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা আসে তারা রাজশাহীর অতিথি হয়ে আসে। এখানকার মানুষ অতিথিকে আতিথ্যেয়তা না দেখিয়ে বরং গলা কাটছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রক্টরিয়াল বডি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। কারো কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে অথবা কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক আমাদের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।

কলমকথা/এসএইচ